রবিবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তি মিললেও অস্বস্তিতে কাটছে শহরের প্রান কেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি গাছ মাঝামাঝি ভেঙ্গে তা ভাসমান অবস্থায় বিদ্যুতের তারের উপর। যেখানে প্রতিদিন শত-শত লোকজন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আসে শহীদ মিনারে।
সোমবার (১৮মার্চ) সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থিত মেহগনি গাছটি অর্ধেক ভেঙে পড়ে আছে। যা গত রবিবার (১৭মার্চ) রাতের তীব্র ঝড়ের কবলে পড়ে অর্ধেক ভেঙে পড়ে আছে। দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গা গাছটিকে বিদ্যুতের তারের উপর থেকে সরানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যে কোন সময় গাছটি ভেঙে মিনারে অবস্থিত মানুষের উপর পড়তে পারে আর ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
মেহগনি গাছটি বর্তমানে মিনারের উপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে আছে। যা মিনারের আশেপাশের এলাকা ও দোকানপাটের বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হয়। গাছটি যেকোন সময় বৈদ্যুতিক তার ছেড়ে গাছটি পড়ে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ সর্টশার্কিট ঘটতে পারে। সর্টশার্কিটের ফলে লাগতে পারে অগ্নিকান্ডের মত ভয়াবহতা। শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প। আবারো ঘটতে পারে কিছু অসর্তকতার ফলে চকবাজারের মত দূর্ঘটনা। মারা যেতে পারে শহীদ মিনারে অবস্থিত ও তার আশপাশের অবস্থিত মানুষেরা।
সরকারি মহিলা কলেজ থেকে আগত কিছু ছাত্রীরা বলেন,আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি মূল প্রান কেন্দ্র হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।প্রতিদিন আমাদের ছুটির পর আমরা এখানে এসে আড্ডা দেই। কিন্তু আজ মিনারে যেভাবে গাছটি পড়ে আছে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। মারা যেতে পারে মানুষ। তাই সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসকের নিকট অনুরোধ করছি যতদ্রুত সম্ভব গাছটি ফেলা হোক।
প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন গাছটি কেটে ফেললে বড় ধরনের দূর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পাবে শহীদ মিনারে আগত হাজারো মানুষ। তাই প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন দৃষ্টি দেবার জন্য শহীদ মিনারে আগত মানুষের অনুরোধ।